03.নাবালিকা দাসীর সাথে সহবাস
user
April 25, 2024
1,432 views
দাসপ্রথা সম্পর্কিত

খুবই ভয়াবহ এবং মাথা খারাপ করে দেয়ার মত একটি ইসলামিক বিধান হচ্ছে, ইসলামে নাবালিকা দাসীদের সাথে যৌনকর্মও সম্পূর্ণ হালাল করা হয়েছে। যুদ্ধবন্দী হিসেবে প্রাপ্ত কিংবা বাজার থেকে মুসলিমগণ ছোট ছোট বালিকা কিনে এনে তাদের সাথে হালাল উপায়েই যৌনকর্ম করতে পারে। এর মত নির্লজ্জ নির্মমতা আর কী হতে পারে আমি জানি না। এই বিধানটি পেডোফাইল বা শিশুকামীদের জন্য এক সূবর্ণ সুযোগ। তারা ইচ্ছেমত এই বিধান মেনে তাদের শিশুকাম চরিতার্থ করতে পারে। খুব কষ্ট লাগে সেই সব নাবালিকা মেয়ের কথা ভেবে, যারা ইসলামের এই অমানবিক বিধানের শিকার হয়ে দিনের পর দিন ধর্ষিত হয়েছে। আসুন হাদিসগুলো প্রথমে পড়ি (( সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি), হাদিসঃ ১২১২ )) (( সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি), হাদিসঃ ১২১৩ )) (( সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি), হাদিসঃ ১২১৪ )) -

সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১২. আওযাঈ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী রাহি. কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, একটি লোক একটি দাসী ক্রয় করলো যে এখনো হায়েযে উপনীত হয়নি আর গর্ভধারণের মতো (বয়সও তার) হয়নি। এমতাবস্থায় সেই লোকটি কতদিন তার থেকে সম্পর্কহীন থাকবে? তিনি বললেনঃ তিন মাস।[1]
[1] তাহকিকঃ এর সনদ সহীহ।
তাখরীজঃ এটি ৯৫৬ (অনূবাদে ৯৫১) নং এ গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওযায়ী (রহঃ)

সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১৩. এবং ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর বলেন, পঁয়তাল্লিশ দিন।[1]
[1] তাহকিকঃ এর সনদ সহীহ।
তাখরীজঃ এটি ৯৫৭ (অনূবাদে ৯৫২) নং এ গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর (রহঃ)

সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১৪. ইয়াহইয়া ইবনু বাশার হতে বর্ণিত, ইকরিমাহ বলেন, এক মাস।[1]আব্দুল্লাহ কে জিজ্ঞেস করা হলো: এতদুভয়ের মধ্যে আপনার মত কোনটি? তিনি বললেন: তিনমাসই অধিকতর শক্তিশালী মত। আর একমাস যথেষ্ট।
[1] তাহকিক: রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

নবীর জামাতা হযরত আলী নাবালিকা যুদ্ধবন্দী নারী ধর্ষণ করেছিলেন বলে জানা যায়। সহজ ইনআমুল বারী যা সহিহ বুখারীর একটি ব্যাখ্যা গ্রন্থ, তা থেকে এই হাদিসটির ব্যাখ্যা যা জানা যায়, তাতে পিলে চমকে ওঠে। আলী আসলে যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক পিরিয়ড পর্যন্ত না হওয়া এক বালিকার সাথে সহবত করেছিল (( সহজ ইনআমুল বারী, শরহে বুখারী মাগাযী ও তাফসীর অংশ, অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ মাওলানা মুহাম্মদ আলমগীর হুসাইন, মাকতাবায়ে এমদাদিয়া প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ২২৭, ২২৮ )) -

শরহে বুখারী
ইনআমুল বারী হায়েজ

যুদ্ধবন্দিনী বা দাসী নাবালিকা হলে সেই নাবালিকা শিশু সাথে সহবাস যে সম্পূর্ণ বৈধ, এই সম্পর্কে ফিকহী মাসআলাও পাওয়া যায় ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী থেকে। কেউ কেউ মত দিয়েছেন যে, নাবালিকা যুদ্ধবন্দীর সাথে ভাগবাটোয়ারা এবং ইদ্দত পালন ছাড়াই ( জরায়ু মুক্ত করার জন্য নির্ধারিত সময় ) সহবাস করা যায়, যেমনটি আলী করেছেন। আবার অন্য আলেমগণ বলেছেন দেড় মাস অপেক্ষার পরে নাবালিকা শিশুর সাথে যৌনকর্ম বৈধ হবে। আসুন ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী থেকে পড়ি (( ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৩৯ )) -

( গায়াতুল বয়ান ) কোন নাবালিগ দাসীকে যদি সহবাসের পর তালাক দেওয়া হয় , তবে তার ইদ্দত দেড় মাস হবে।

অপ্রাপ্তবয়ষ্ক সহবাসে অক্ষম নাবালিকা দাসীর সাথে ইসতিবরার পরে, অর্থাৎ জরায়ু মুক্ত করার পরে সহবাস করার বৈধতার প্রমাণ আরো পাওয়া যায় আশরাফুল হিদায়া গ্রন্থেও- (( আশরাফুল হিদায়া, ইসলামিয়া কুতুবখানা, নবম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬১৫, ৬৩৮ ))

ইসতিবরা করা ক্রেতার উপর ওয়াজিব, বিক্রেতার উপর নয়। কেননা এর মূল কারণ হলো দাসীর সাথে সহবাসের ইচ্ছা করা। আর তা ক্রেতাই করে থাকে, বিক্রেতা করে না। অতএব, ক্রেতার উপরই ইসতিবরা তথা জরায়ু পবিত্র করা ওয়াজিব। তবে সহবাসের ইচ্ছা একটি গোপন বিষয়, তাই ইসতিবরা এর হুকুম আবর্তিত হবে এর দলিলের উপর। আর সে দলিল হলো সহবাস করার বৈধ কর্তৃত্ব। এ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় মালিকানা ও দখলের দ্বারা। আর তাই কর্তৃত্বকেই কারণ বা সবব সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টিকে সহজ করার জন্য হুকুম উক্ত কর্তৃত্বের সাথেই আবর্তিত হবে। সুতরাং ইসতিবরা করার সবব হলো দাসীর সত্তার মালিকানা যা দখলের মাধ্যমে মজবুত হয়েছে। এ হুকুম মালিকানার অন্যান্য সববের দিকে সম্প্রসারিত হবে। [ মালিকানার অন্যান্য সবব ] যেমন- ক্রয়, দান, অসিয়ত, মিরাস, খুলা ও কিতাবাত ইত্যাদি। অনুরূপভাবে ক্রেতার উপর ইসতিবরা ওয়াজিব হবে যদি সে দাসীকে কোনো শিশুর মাল থেকে অথবা কোনো মহিলার মাল থেকে, অথবা [ ব্যবসায়ে অনুমতিপ্রাপ্ত ] কোনো দাস থেকে কিংবা এমন ব্যক্তি থেকে ক্রয় করে যার জন্য সেই দাসীর সাথে সহবাস করা হালাল নয়। অনুরূপভাবে যদি ক্রয়কৃত দাসীটি সহবাসে অযোগ্য কুমারী হয় তবুও [ ইসতিবরা করা ওয়াজিব হবে ]; সবব পাওয়া যাওয়ার কারণে। আর হুকুমসমূহ সববসমূহের সাথেই আবর্তিত হয়, হিকমত বা রহস্যসমূহের সাথে নয়। কেননা হিকমত গোপন থাকে। সুতরাং জরায়ুতে বীর্য থাকার ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও সবব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

মুসান্নিফ (র .) বলেন, যেসব দাসী মাস গণনার মাধ্যমে ইদ্দত পালন করতে হয় অর্থাৎ বয়সের স্বল্পতার কারণে এখনো যাদের হায়েয শুরু হয়নি কিংবা অধিক বয়সের কারণে হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে এমন দাসী যদি কারো অধিকারে আসে তাহলে সে দাসীর গর্ভাশয় পবিত্র বলে সাব্যস্ত হবে এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার দ্বারা। কেননা এসব মহিলার ক্ষেত্রে একমাসকে এক হায়েযের স্থলবর্তী এবং তিন মাসকে তিন হায়েযের স্থলবর্তী সাব্যস্ত করা হয়েছে ।